নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) : আসন্ন শারদ উৎসব । লকডাউন এর পর্ব শেষে আনলক পর্ব । খুলেছে দোকান , বাজার , শপিং মল সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি দপ্তর । কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থা সচল নয় । বাসের সংখ্যা যা রাস্তায় সেখানে ঠাসাঠাসি ভীড় , ভাড়াও বেশী । স্বাস্থ্য বিধি কার্যত শুধু খাতায় কলমে । অনান্য যানবাহনেও ভাড়া অনেক বেড়েছে । যে পরিবহণ ব্যবস্থার উপর সবথেকে বেশী মানুষ নির্ভরশীল তা এখন ও বন্ধ । সেটি হলো লোকাল ট্রেন। কম খরচে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে পারতেন । এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশী সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত , নিম্মবিত্ত সহ দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ । লোকাল ট্রেন চালু করা হোক অবিলম্বে দাবী ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে । করোনার জেরে প্রায় ৭ মাস বন্ধ লোকাল ট্রেন । অর্থনীতির লাইফ লাইন ধসে পড়েছে । মাঠে কাজ করা , কারখানায় কাজ করা মানুষদের ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে । যে সময়ে দাঁড়িয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল সমস্ত বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কর্মসূচী করছে , তখন লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য দ্বিধা কিসের ? তৃণমূল বিজেপি সিপিএম কংগ্ৰেস সবাই যে যার মত রাজনৈতিক কর্মসূচী করছে কর্মীদের নিয়ে । একজায়গায় ঠাসা ভীড় , মাস্ক বিহীন অবস্থায় চলছে একের পর এক কর্মসূচী । পুলিশের সামনেই নির্দেশ অমান্য করে চলছে মিছিল মিটিং সভা । ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারন মানুষ । রেলের কর্মচারীদের জন্য যে স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে তাকে ঘিরেই চলছে বিক্ষোভ হুগলী , পান্ডুয়া , চুঁচুড়া , সাঁতরাগাছি সহ একাধিক জায়গায় । রীতিমত খন্ডযুদ্ধ রেল পুলিশের সাথে । দিন যত গড়াচ্ছে তত ক্ষোভ আগুনে পরিণত হচ্ছে । এবার বাম ও কংগ্ৰেস উভয় নেতৃত্ব ই লোকাল ট্রেন চালানোর দাবী নিয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে । বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান , বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী লিখিতভাবে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্ৰহণের কথা জানিয়েছেন । যেভাবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে সেভাবেই লোকাল ট্রেন চালু হোক সংখ্যা বাড়িয়ে সে কথাও জানানো হয়েছে । রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী কি পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে ।